রাতের অন্ধকারে গাছ চুরির অভিযোগ , বিক্ষোভে এলাকাবাসী

8th August 2020 7:38 pm বাঁকুড়া
রাতের অন্ধকারে গাছ চুরির অভিযোগ , বিক্ষোভে এলাকাবাসী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাতের অন্ধকারে গাছ চুরি বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের ।  রাতের অন্ধকারে বন থেকে গাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হলো । খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন । ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার ছাতনা আঞ্চলিক বনবিভাগের অন্তর্গত ঝুঞ্জকা পঞ্চায়েতের শিরপুরা গ্রাম সংলগ্ন বনে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তর এর দুই কর্মী তখন তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা । 

স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায় ,  রাতের অন্ধকারে চোরাকারবারীরা বন থেকে চোদ্দটি সোনাঝুরি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং গাছের অবশিষ্টাংশ রাস্তার ওপরে ফেলে রেখে যায় এর ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে ।  সকাল হতেই ঘটনা নজরে আসতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় এবং তারা রাস্তার উপরে বিক্ষোভে সামিল হন ।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর আগেও বহুবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বারবার বনদপ্তরকে জানানো হলেও তারা কোন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি । যার ফলে পুনরায় এই ধরনের ঘটনা ঘটলো । 

শিরপুরা বন সুরক্ষা কমিটির এক সদস্য সুনীল বাউরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন , এর আগেও বহুবার গাছ কাটা হয়েছে আমরা বনদপ্তরকে জানালে তারা বলেছিলেন এই ধরনের ঘটনা আর হবে না কিন্তু তারপরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটলো । এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব । 

এ বিষয়ে ছাতনা আঞ্চলিক বন বিভাগের বিট অফিসার সুস্মিতা টেটে এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , আমদের কাছে মৌখিক অভিযোগ এসেছে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । তাদের নির্দেশমতো এর বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।